ইনানী সৈকতে বীচ বাইকের বেপরোয়া চলাচল ও দৌরাত্বে ভ্রমন পিপাসু পর্যটকরা চরম দুর্ভোগ শিকার হচ্ছে। গতকাল রবিবার বিকেলে বীচ বাইকের ধাক্কায় ৫ জন পর্যটক আহত হয়েছে। আহতদেরকে ইনানী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঈদের ৩ দিন পর বীচ বাইকের আঘাতে এক পর্যটকের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির তদারকি ও দায়িত্ব অবহেলার কারণে বীচ বাইকের দৌরাত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
পর্যটকরা জানান, ইনানী সৈকতে প্রবেশ মুখে অসংখ্য বীচ-বাইক এলোপাতাড়ী ভাবে চলাচল করে। শুধু তাই নয় পর্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য অহেতুক বীচ-বাইক গুলো প্রবেশ মুখে দাঁড় করিয়ে রাখে। ফলে ইনানী বীচে ভ্রমন করতে আসা দেশী-বিদেশী পর্যটকরা সাগরে নামতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।
প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গতকাল বিকেলে বীচ-বাইকের ধাক্কায় ভ্রমন করতে আসা ৫ জন পর্যটক আহত হয়েছে। আহতের মধ্যে ২ জন নারী পর্যটক রয়েছে। এভাবে প্রতিদিনই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পর্যটকরা। গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, টুরিষ্ট পুলিশ ও দায়িত্বরত বীচ কর্মী এসব বিষয় নজরদারীর কথা থাকলেও তাহারা রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছে। এমনকি প্রতিটি বীচ বাইক থেকে দৈনিক ১শ টাকা হারে মাসো হারা আদায় করা হয়।
এদিকে গতকাল রবিবার বেপরোয়া ভাবে বীচ বাইক চলানোর অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাঈন উদ্দিন একটি বীচ বাইক আটক করে ইনানী পুলিশ ফাঁড়িতে হস্তান্তর করেছে বলে জানা গেছে।
সুশীল সমাজের অভিমত টুরিষ্ট পুলিশ ও বীচ কর্র্মীদের দুর্নীতির কারণে ইনানী সৈকতে বীচ বাইকের দৌরাত্ব বেড়ে গেছে। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ভ্রমন করতে আসা পর্যটকরা আহত হচ্ছে। এমনকি মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। তাই পর্যটকদের ভ্রমন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অবৈধ বীচ বাইক বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট জোরদাবী জানিয়েছেন।
পাঠকের মতামত: